রাজু আহমেদ মামুন
(‘হাম লোহু অ ফেছা লোহু/শানা শুনা শাহারা/হাত্তা এজা বালাগা/
আশাদ্দাহু বালাগা/আরবাইনা ছানাতা’- বাঘচালানের মন্ত্র, সংগৃহীত)
ক.
বাওয়ালিরা কাঠ খোঁজে মোয়ালেরা মৌ
কেউ কেউ কি যে খোঁজে জানে না তা কেউ!
মানুষ মন্ত্র ছোঁড়ে- বাতাসে মিলায়
মনের অতৃপ্তি নিকাশ মনে মনে হয়।
বন মন্ত্র ছুঁড়লে- বাঁধা পড়ে মানুষের মন
বনে পাওয়া জানেনা কেন সে এমন।
খ.
বুনো বাতাসের ঘোড়ায় চেপেছে ফেনা ভাত আর সালুনের গন্ধ,
বাওয়ালি বহর পাশে বানরের ভিড়, এসেছে বনযোগী, মিলবে-
জীবনের প্রসাদ, রাত্তিরে হবে বুনো খালপাড়ে বাঘ চালানের মন্ত্র পাঠ।
গ.
একচল্লিশ দিন রাত বনে বনে দৌড়াবে বাঘ
কিছুই খাবেনা, যদি দৌড়ের পথে
শিকার না দেয় ধরা, এসব মন্ত্রের তেলেশমতি,
মন্ত্রদাতা কহে। এবার তবে বাঘ চালানের পালা।
মাটিতে চাপর কাটা বুড়া যোগীর শীর্ণ হাতে
বাঘের হুংকার, শশ্রূমুখে শ্লোকের স্রোত
চোখের চাবুকে মন্ত্রের ঘোড়া দৌড়ায় বাতাসে বাতাসে
মন্ত্রঘায়ে লাফিয়ে ওঠে গাজী কালু বনবিবি
দাবড়ায় সারা বন।
মুগ্ধ বাওয়ালি মনে জাগে বাঘেদের দৌড়
চাদপাই, সুপতী, রায়মঙ্গল হয়ে
সারা বন জুড়ে দৌড়ায় সারি সারি কাল্পনিক বাঘ
নামে স্বস্তির নিশ্বাস, নির্ভয়ে কাটা যাবে কাঠ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন